ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তার এবং হাইড্রোজেন সিলিন্ডার ছিল ঝুঁকির মূল কারণ

রাজধানীর শাহবাগে ফুলের দোকানে আগুন লাগার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ঝুলন্ত অবস্থায় লুজ বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং বেলুন ফোলানোর জন্য ব্যবহৃত হাইড্রোজেন গ্যাস সিলিন্ডার পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত এবং গ্যাস সিলিন্ডার থেকে নির্গত গ্যাস আগুনের বিস্তারকে ত্বরান্বিত করেছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) রাতে ১১টা ২০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ঘটনাস্থলে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান।
এর আগে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান জানান, রাত ৯টা ৫৩ মিনিটে শাহবাগের একটি টিনশেড ফুলের দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে তারা অভিযান শুরু করেন। ৮ মিনিট পর, রাত ১০টা ১ মিনিটে ঘটনাস্থলে প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। এরপর পলাশী ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট যোগ হয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং রাত ১১টা ২০ মিনিটে পুরোপুরি নিভে যায়।
সহকারী পরিচালক নজমুজ্জামান জানান, আগুনের সঠিক কারণ এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। তবে, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, দোকানের বৈদ্যুতিক তারগুলো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল এবং সংযোগগুলো অত্যন্ত ঢিলা ছিল। আমাদের ধারণা, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে বেলুন ফোলানোর জন্য ব্যবহৃত হাইড্রোজেন বা হিলিয়াম গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া গেছে, যেগুলো থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে এবং আল্লাহর রহমতে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটেনি।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, হাইড্রোজেন গ্যাস অত্যন্ত বিপজ্জনক। হিলিয়ামের তুলনায় কম দামে পাওয়ার কারণে অনেকেই হাইড্রোজেন ব্যবহার করেন। কোন গ্যাস ব্যবহৃত হয়েছিল, তা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুন নিভে গেলেও সিলিন্ডারগুলো এখনও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তাই, বর্তমানে ওই এলাকা জনসাধারণের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।